
এখনো ১৫০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে বন্দি রয়েছে। গত ১১ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমারের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। সবশেষ বুধবার সন্ধ্যায় সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে তারা।বিজিবি বলছে, কয়েক দফায় ২০০ জনকে ফেরত আনা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য জেলেদের আটক করে টহল দল। এর মধ্যে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিত্তে শহরের কো-তান-কাউক গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে ৬ জেলে এবং পৌনে ৯টার দিকে চেইন-খালি উপকূল থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূর থেকে ৭ জেলেকে আটক করে তারা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে আরাকান কর্তৃপক্ষ ১৮৮ বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি ট্রলার ছেড়ে দেয়। তবে পরবর্তীতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ সম্মান ও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে আরাকান আর্মি।
টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, তার ঘাট থেকে দুটি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। আরাকান আর্মির সদস্যরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে তাদের ধাওয়া করে আটক করে। দুটি ট্রলারের মধ্যে একটির মালিক মো. সৈয়দ আলম। অপরটির মালিককে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সৈয়দ আলম জানান, আরাকান আর্মির কারণে নাফ নদী ও সাগরে মাছ ধরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সাগরে তার একটি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে আরাকান আর্মি ট্রলারটিসহ ধরে নিয়ে যায় জেলেদের।

পাঠকের মতামত